“বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই! এখানে ল’লেসনেসটাই হল আইন, নতুন করে কাকে কী বলার আছে!” তৃণমূলকে কটাক্ষ প্রাক্তন মুকুলের
এককালীন সতীর্থদের কাছেই প্রতিনিয়ত বিদ্ধ হচ্ছে বাংলার বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তীব্র কটাক্ষে রাজ্য সরকারকে বিঁধে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, “বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। এখানে ল’ লেসনেসটাই হল আইন। এতএব এটা আর নতুন করে কাকে কী বলার আছে!”
দুদিনের সফরে রাজ্যে এসেছিলেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। রাজ্যে এসে তাঁর পুলিস কমিশনারদের বৈঠকে ডাকা প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন তিনি। উল্লেখ্য, দুদিনের সফর শেষ করে আজই দিল্লি ফিরে যান তিনিও।
বাংলায় এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহেই নির্বাচন শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন এমনটাই জানা যাচ্ছে। কারণ মে মাস থেকে সিবিএসসি সহ অন্যান্য বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয়ে যাচ্ছে। আর তাই বাংলায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার নির্দেশ নিয়ে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার রাতে বাংলায় আসেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। বুধবার সকাল থেকে জেলাশাসক, পুলিস সুপার ও পুলিস কমিশনারদের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠকে বসেন তিনি। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খোঁজখবর নেন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে।
সূত্রের খবর, উপ নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে পড়েন কলকাতা ও ব্যারাকপুরের পুলিস কমিশনার। আগামী সপ্তাহে ফের জেলাশাসক, পুলিস সুপার ও পুলিস কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে ইঙ্গিতও দিয়েছেন সুদীপ জৈন। সেই বৈঠকে লোকসভা ভোটে ও বিধানসভা ভোটের আগের পরিস্থিতি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পেশ করার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন তিনি।
তবে এবারের নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট কড়াকড়ি করছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গাফিলতির অভিযোগ এলেই এবার সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হবে।
আশঙ্কার একুশের বিধানসভা ভোটে পরিচালনায় কমিশন এমনই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রের খবর।