West Bengal

আছড়ে পড়ার আগেই নিজের রূপ দেখাতে শুরু করেছে ‘যশ’, কংক্রিটের বাঁধ টপকে জল ঢুকছে দিঘা, তাজপুর গ্রামে

বিজ্ঞাপন

একে পূর্ণিমার ভরা কোটাল, তার উপর চন্দ্রগ্রহণ। এই সমস্ত কিছু প্রভাবিত করবে যশকে। ফলে তা আছড়ে পড়ার সময়ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। আগামীকাল, বুধবার আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু এর আগে আজ থেকেই ‘খেলা’ দেখাচ্ছে ‘যশ’। দিঘা-তাজপুর এলাকার স্থানীয়দের দাবী, ইতিমধ্যেই কংক্রিটের বাঁধ টপকে সমুদ্রের জল ঢুকতে শুরু হয়ে গিয়েছে গ্রামের মধ্যে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- ঝড়কেও বশ করার ক্ষমতা রাখেন, ঝড় সম্বন্ধে তাঁর ভবিষ্যৎবাণী অক্ষরে অক্ষরে সত্যি, ভারতের সাইক্লোন ম্যান

বিজ্ঞাপন

জানা গিয়েছে, রামনগর-১ ব্লকের সমুদ্রপার লাগোয়া সাত থেকে আটটি গ্রামে আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকেই জল ঢুকতে শুরু করেছে। এই কংক্রিটের বাঁধ প্রায় ১৫ ফুট উঁচু। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেই বাঁধ পার করে সকালে গ্রামে জল ঢুকেছে।

বিজ্ঞাপন

সদ্যই বাঁধের উপর তৈরি হয়েছে একটি রাস্তা। কিন্তু সেই রাস্তার একটা বড় অংশ জলের দাপটে ভেঙে মাটিতে মিশে গিয়েছে। এর জেরে ভেঙেছে একাধিক বাড়িঘর। চাষের জমিতেও ঢুকেছে নোনা জল।

বিজ্ঞাপন

এলাকার কয়েক হাজার মানুষ ইতিমধ্যেই আশ্রয় নিয়েছেন সাইক্লোন রিলিফ সেন্টারে। তবে গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, সাইক্লোন যত এগিয়ে আসবে, ততই জলোচ্ছ্বাসের পরিমাণও বাড়বে। গোটা গ্রাম ডুবে যেতে পারে সমুদ্রের নোনা জলের তলায়, এমনটাও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- যশ মোকাবিলায় প্রস্তুত পুরুলিয়া! মোতায়েন সেনাবাহিনী, NDRF

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়দের কথা অনুযায়ী, কংক্রিটের এই বাঁধ এখনও পর্যন্ত সমুদ্রের জলের ঢেউয়ের চাপ সহ্য করতে পেরেছে। কিন্তু বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে।

এই কারণে আজ সকালে ভাঁটা পড়তেই বড় বড় বোল্ডার টেনে এনে রাখা হয়েছে সমুদ্রের পাড়ে। যাতে জলের চাপ প্রথমে বোল্ডারে পড়ে। এর ফলে বাঁধের উপর চাপ খানিকটা কমবে। তবে এই পদ্ধতি কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।

বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading