‘নুসরতকে ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বুদ্ধিমান মেয়ে বলে মনে হত’, অভিনেত্রী-সাংসদের বিয়ে বিতর্কে সরব রাজ চক্রবর্তী
বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহানকে নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক থেকে শুরু করে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ও তাঁর বিয়ে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, এসবে বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে নুসরত। এবার এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন পরিচালক তথা তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী।
তাঁর কথায়, “নুসরত খুবই বুদ্ধিমান মেয়ে। আমার ওঁকে ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বুদ্ধিমান মেয়ে বলে মনে হত। কিন্তু যখন ও ওই কথাগুলো বলেছে, প্রেজেন্স অফ মাইন্ড, হয়তো ভুল হয়ে গেছে। আমার বিশ্বাস, কোনটা কোথায় বলা উচিত, ও খুব ভালো করে জানে। এটা ওঁর ব্যক্তিগত বিষয়। ও একজন সাংসদ, একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করে, আমার বিশ্বাস ও ভবিষ্যতে নিজেকে সংশোধন করবে”।
এদিকে আবার, সংসদে শপথ গ্রহণের সময় মিথ্যে বলেছিলেন নুসরত, এই অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সঙ্ঘমিত্রা মৌর্য। কিন্তু কী মিথ্যে?
এর জন্য পিছিয়ে যেতে হবে ২০১৯ সালের ২৫শে জুন তারিখে। এদিন লোকসভায় সাংসদ হিসেবে শপথগ্রহণ করেন নুসরত। পরনে বেগুনী পাড়ের শাড়ি, মাথাভর্তি সিঁদুর, হাতে গাঢ় মেহেন্দির রঙ। এই সাজেই শপথগ্রহণের সময় নুসরত উচ্চারণ করেন, “আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন”। অর্থাৎ নিখিল জৈনের পদবী জুড়ে দেন তিনি।
কিন্তু কিছুদিন আগেই নুসরতের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর সামেন আসে। তবে তাঁর স্বামী নিখিল স্পষ্ট জানান যে এ সন্তান তাঁর নয়। এরপরই মনে করা হয় এ সন্তান আসলে নুসরত ও যশের ভালোবাসার ফল।
শুধু তাই-ই নয়, এরপরই নুসরত একটি বিবৃতি জারি করে দাবী করেন যে তাঁর ও নিখিলের বিয়েই হয়নি। তারা সহবাস করছিলেন মাত্র। এরপরই তাঁর দিকে ধেয়ে আসে বিতর্ক। রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয় নুসরতের এই মন্তব্য নিয়ে।
বিজেপির তরফে প্রশ্ন তোলা হয় যে, নুসরত যদি বিবাহিতা না-ই হবেন, তাহলে শপথগ্রহণের দিন তিনি নিজের পদবীতে নিখিল জৈনের পদবী কেন জুড়েছিলেন? আর সংসদের ওয়েবসাইটেই বা তাঁর বিয়ের দিন ১৯শে জুন ২০১৯ ও স্বামীর নাম নিখিল জৈন কেন দেওয়া রয়েছে? ওয়েবসাইটে পরিচয়পত্র তৈরি হয় সাংসদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই। তাহলে নুসরত সংসদে ভুয়ো তথ্য পেশ করেছেন ও মিথ্যে বলেছেন। এর অর্থ সংসদকে প্রতারণা করা। এই কারণেই লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছেন সঙ্ঘমিত্রা মৌর্য।