‘রাজ্য সরকারের হাত মিলিয়ে অনেক বেআইনি কাজ করছেন রাজ্যপাল’, সি ভি আনন্দকে বেলাগাম আক্রমণ শুভেন্দুর
রাজ্যপালের সমালোচনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সিউড়ির পুরন্দরপুরে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে বেলাগাম আক্রমণ করেন শুভেন্দু। কড়া ভাষায় তোপ দেগে তিনি বলেন, রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বেআইনি কাজ করছেন। তাঁর দাবী, তাঁর কাছে সেসবের তথ্যও রয়েছে। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে এভাবে আক্রমণ করায় শুভেন্দুকে পাল্টা তোপ দাগল তৃণমূল।
গতকাল, বৃহস্পতিবার সিউড়ির পুরন্দরপুরে এক কর্মসূচিতে যোগ দেন শুভেন্দু। গত সপ্তাহে সেখানে এক সাধুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনা নিয়ে তুমুল শোরগোল পড়ে এলাকায়। তাঁর মৃত্যুতে এদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি যাত্রার আয়োজন করেন ভক্তরা। সেই অনুষ্ঠানেই যোগ দিতেই সিউড়ি যান শুভেন্দু। এদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি যাত্রার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল সম্পর্কে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি।
শুভেন্দু বলেন, “সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অনেক বেআইনি কাজ করেন। আমার কাছে তথ্য আছে। রাজ্যপালকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে চাই না। রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে অনেকভাবে সাহায্য করছেন। তাঁদের মধ্যে একটা ঝগড়া-ভালবাসার সম্পর্ক আছে”।
তাঁর সংযোজন, “আমি গভর্নরের উপর নির্ভর করে রাজনীতি করি না। উনি কিছু কিছু বেআইনি কাজ করছেন। যেমন নির্বাচন কমিশন বীরেন্দ্রকে সরিয়েছে, তারপরে উনি বীরেন্দ্রকে তথ্য কমিশনার করে দিয়েছেন। লোকায়ুক্ত পদে অসীম রায়ের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছেন। আমি অন্যায় দেখলে আদালতে যাবই”।
শুভেন্দুর এই কটাক্ষ বা আক্রমণকে সেভাবে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্যপাল। সংক্ষিপ্ত কথায় তাঁর প্রতিক্রিয়া, “উনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মতপ্রকাশের অধিকার তাঁর আছে, তিনি সেটাই করেছেন”।
তবে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে এভাবে আক্রমণ শানানোয় শুভেন্দুকে পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়ে নি তৃণমূল। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “যে ভাষায় শুভেন্দু আজ রাজ্যপালকে আক্রমণ করল, তা সমস্ত শিষ্টাচারের ঊর্ধ্বে, সৌজন্যের বিরুদ্ধে। আসলে শুভেন্দুদের একটা প্রতিহিংসার রাজনীতি রয়েছে। ওদের জনগণের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। সবটাই ওদের করে দিতে হয়। জগদীপ ধনকড়ের সময় তো এই শুভেন্দুরাই দিনরাত পার্টি অফিসের মতো রাজভবনে ঘুরে বেড়াত। এখনকার রাজ্যপাল কিছু বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে একমত হচ্ছেন, কিছু বিষয়ে হচ্ছেন না। সেটা শুভেন্দুদের সহ্য হচ্ছে না। ও কী ভেবেছে কী? রাজ্যপাল পদ কি অধিকারীদের প্রাইভেট লিমিটেড”?