ফের টর্নেডো রাজ্যে! ঝড়ের দাপটে কয়েক মুহূর্তের মধ্যে লণ্ডভণ্ড গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি আশ্রম সংলগ্ন এলাকা
ফের রাজ্যে দেখা দিল টর্নেডো। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঝড়ের দাপটে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির আশ্রমের সংলগ্ন এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এর জেরে আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়।
গতকাল, রবিবার মধ্যরাত থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগণায় শুরু হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। সোমবার সকালেও নাগাড়ে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া তো রয়েছেই। এরই মধ্যে আচমকাই ওঠে টর্নেডো। এর জেরে সাগরে পঞ্চায়েত সমিতির গঙ্গাসাগর সি ব্রিজের কাছে একাধি গাছ ভেঙে পড়েছে। কপিলমুনি আশ্রমের কাছে বেশ কিছু কটেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে দোকানপাট।
আরও পড়ুন- সকাল থেকে বৃষ্টিতে ভাসছে কলকাতা, সপ্তাহের শুরুতেই কাজে বেরিয়ে নাজেহাল মানুষ
এদিন টর্নেডোর সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন মানস দাস। সেই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “একেবারে হাতির শুঁড়ের মতো ওই ঝড় আছড়ে পরে। আমি ওই এলাকাতেই ছিলাম। আচমকা দেখলাম কপিলমুনির আশ্রমের পেছন থেকে ঝড় উঠছে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ঘূর্ণিঝড়ে এলাকার একাধিক দোকানের টিন উড়ে গিয়েছে। চাল ভেঙে পড়েছে। গাছগুলি উপড়ে পড়ে”।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থল উপস্থিত হন সাগরের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুদীপ্ত মণ্ডল। তাঁর কথায়, “মোট ৩৭টি টিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চারটি দোকান সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছে। একাধিক টিন ভেঙে পড়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত এগুলি মেরামতির ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে”।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ডায়মন্ডহারবার সংলগ্ন হুগলী নদীর উপর হঠাৎ ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়। এই ঘূর্ণাবর্তের জেরে নদীর জল আচমকাই ঘুরতে ঘুরতে অনেকটা উপরে উঠতে থাকে। তা দেখে ভয় পেয়ে যান স্থানীয়রা। তাদের কথায়, এমন দৃশ্য তারা আগে কখনও দেখেন নি।
মহম্মদ সাহাবউদ্দিন শেখ নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী সেই সময় বলেছিলেন, “আমরা চায়ের দোকানে বসেছিলাম। নদীর মাঝে আচমকাই ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়। সে সময় মারাত্মক বৃষ্টি পড়ছিল। আকাশ কালো হয়ে আসে। ভয়ে বুক কাঁপছিল”। অল্প সময়ের জন্যই স্থায়ী হয়েছিল ওই ঝড়। তারপরে মিলিয়ে যায়। রায়চকের খুব কাছেই ঘটনাটি ঘটেছে। এর জেরে গোটা এলাকায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
(সবার আগে সব খবর, সঠিক খবর জানতে ফলো করুন আমাদের Google News, Whatsapp, Facebook, X Handle (Twitter), Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)