ছিল না খাবার জোগাড় করার টাকা, কর্মচারীদের থেকে টাকা ধার নিতেন অমিতাভ, বাবার পাশে দাঁড়াতে বিদেশের কলেজ ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসেন অভিষেক
বলিউডের ধনী তারকাদের মধ্যে অমিতাভ বচ্চন অন্যতম। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছেন তিনি। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কিছু কম নয়। তবে এমন ধনী ব্যক্তিরও একসময় হয়েছিল হাঁড়ির হাল।
এমনও দিন গিয়েছে যখন অমিতাভের পরিবারের কাছে খাবারন ছিল না। নিজের কর্মচারীদের থেকে টাকা ধার নিয়ে খাবার কিনেছেন তিনি। কোটি টাকার ঋণ ছিল তাঁর মাথায়। সেই সময় বাবার পাশে দাঁড়ান অভিষেক।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে নিজের পরিবারের দুঃখের দিনের কথা শেয়ার করেন অভিষেক বচ্চন। তিনি জানান যে নব্বইয়ের দশকের সময় তাঁর পরিবারে যেন এক অন্ধকার নেমে আসে। আর্থিক দিক থেকে ভেঙে পড়েছিল বচ্চন পরিবার। ব্যবসায় বড় রকমের ক্ষতি হয়ে যায় বিগ বি-র। ছিল না খাবার কেনার টাকাও।
সেই সময় আমেরিকায় কলেজে পড়াশোনা করছিলেন অভিষেক। পরিবারের দুর্দশার কথা শুনে বিদেশে বসে থাকতে পারেননি তিনি। তিনি বলেন, “গোটা পরিবার যে তাঁর পাশে আছে এটা ভেবে খুব আশ্বস্ত বোধ করেন বাবা। আমি বস্টনে বসে থাকব আর বাবা এদিকে চিন্তা করবে যে রাতের খাবারটা কীভাবে জোগাড় করবেন সেটা হতে পারে না। পরিস্থিতি তখন অতটাই খারাপ ছিল। এটা প্রকাশ্যেও বলেছেন বাবা। কর্মচারীদের থেকে টাকা ধার করে খাবার কিনেছিলেন তিনি। ওঁর সঙ্গে থাকতে পেরে আমি ধন্য”।
বাবাকে সাহায্য করার জন্য সেই সময় কলেজ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিষেক। অমিতাভকে একথা জানাতে বেশ খুশিই হয়েছিলেন বাবা। সেই সময় অভিষেকের অভিনয়ে আসার আলোচনা চলছিল। এই পরিস্থিতিতে অমিতাভ অভিষেককে বলেন যে অভিনয়ে আসবেন তিনি, এ ভালো কথা। কিন্তু তার আগে ভালোভাবে হিন্দিটা রপ্ত করতে হবে। কারণ শেক্সপিয়ারের ভাষা এখানে চলবে না।
নব্বইয়ের দশকে অমিতাভের ব্যবসা এবিসিএল কর্পোরেশনের যে ভরাডুবি হয়, একথা নিজেও অনেকবার জানিয়েছেন অভিনেতা। সেই সময় তাঁর সেরকম পরিস্থিতি দেখে কোনও প্রযোজক তাঁকে কাজ দেন নি। তবে পরিবারের পুরো সাহায্য পেয়েছিলেন অভিনেতা। তবে সেই সময় ‘মহব্বতে’ ও কৌন বনেগা ক্রোড়পতি-র সঞ্চালনা তাঁর কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।